Friday, August 28, 2009

ইচ্ছা মসীহ

এখনই একটা জাহাজ আসবে, জাহাজে আসবে গল্প।
সেই গল্পের শেষটা কিন্তু শেষ না করেই শেষ!
শেষে এক নদী, তার তীরে নৌকা ভেড়াবার কিছু পূর্বেই
হঠাৎ ‘ঝপাৎ’। দেখি, ঝপাতের সঙ্গে আমি ভেসে যাচ্ছি জলে

সে জলে ভাসতে ভাসতে শেষে, ভেসে গিয়ে এক দ্বীপে
দেখেছি, ইচ্ছা কখনো পুরুষালী নয়, ইচ্ছা এমনই-
কেননা আমার অনেক মৃত্যু কাম্য ছিল না মোটেই!
কেননা আমাকে উড়তে হয়েছে আগুনের শিখা ছুঁয়ে!
কেন যে আমার ওপারে যাবার সাঁকোটাই ছিল ভাঙা!
কেন যে আমাকে শাদাপৃষ্ঠায় লিখতে হয়েছে নাম!
কেন যে আমাকে ঘামতে হয়েছে ঘুমোবার আগে একা!

সেই দ্বীপে বহু পাখি আছে, সালিম আলি কিছুই জানে না।
সেই দ্বীপে বহু রোদ আছে, যাকে পটে কেউ-ই আঁকেনি।
সেই দ্বীপে বহু রাত আছে, রাতের মর্মার্থ নিয়ে সংশয়াচ্ছন্ন কবি।
তো, সে দ্বীপে আমার দ্বীপান্তর হলে, আমি জাহাজি-প্রতীক্ষা করি:

যত যত যত চক্রব্যাধ, এতটাই অবাধ যে দেখতে না-দেখতেই
আমিভর্তি স্মারক আমার রজনীলিপির মধ্যে ঢুকে পড়ে।
যদিও, আমিও গান করেছি যদিও আমি রয়েছি জনান্তিকে
অজস্রএক টোকন ঠাকুর আমি শুধু যাই লিখে

আজ জাহাজি গল্প, সেই দ্বীপ, দিনরজনীর লিপিময় কথা, এসব কেন?

তোমার ইচ্ছা। তুমি হয়তো এমনি-এমনিই ইচ্ছা করেছিলে

আর আমায় উড়তে হয়েছে ঘুরতে হয়েছে মৃত্যু হয়েছে অনেক,
আর আমায় আপন অশ্রু হাতের তালু উল্টে মুছে
খুঁজতে হয়েছে ভিড়ের মধ্যে কোনটা প্রকৃত আমি?
        আমি তো অনেক
অথচ, তোমার ইচ্ছায় তুমি হয়তো তোমার মতোন একচ্ছত্র, একক?

No comments:

Post a Comment