Monday, September 7, 2009

গরিব মানুষ, হাতের লেখা খারাপ

একটি, পুরনো কুটির ঘাঁটতে গিয়ে, চোখভর্তি জল এসে গেল।

সন্ধ্যাগঞ্জে, এই ইচ্ছামতি হাওয়ায়
    না-জানিয়ে উড়ে গেল
        গত শতকের গান;
আমি গানের প্রসঙ্গ ভুলে, নিদ্রাভঙ্গ নদীতীরে
দেখতে পাই পরমার্থ... প্রায়-স্মৃতি
        গরিব কবিতাগুলো
    আলগোছে শুয়ে আছে কুটিরবেলায়

গরিব কবিতা, তুমি আজ স্মরণ কর সেই
        নিঃসঙ্গতার নবীন দশক
মৃত্যুময় জোছনার মধ্যে ‘আগুন’ ‘আগুন’ বলে
    আমৃত্যু চিৎকারে পোড়াপাখিটাই কীনা
        রূপান্তরের কবি! কবিকে দেখেই
শস্যময়ী মাঠ তাকে মূর্খ মূর্খ বলে এড়িয়ে গেল, আর
প্রত্যাখ্যান এসে এমন করল যে, বেলজিয়ামের আয়না ভেবে
অত্যন্ত আগুনের দিকেই কবিকে
        তাকিয়ে থাকতে হলো

০২.

কুটিরের কবিতায় লেখা আছে আশ্চর্য কুহক
        কবিতা কুটিরশিল্প
কবিতাকে কুটিরেই বেঁচে থাকতে হয়!

পরস্পর আবারও কবি আবারও নবীন এসে
        হামাগুড়ি দেয়
তাদের আঙুল থেকে নখের মতোন বেড়ে যায়
            এককালীন বিস্তীর্ণ অভিমান-
কিন্তু তারা কবি বলে নখও কাটে না, অভিমানও ভাঙে না

০৩.
সন্ধ্যা থেকে রাত্রের পথেই, আবার মনে পড়লো
যে-কবিতা এত গরিব, তা দেখেই কি
    প্রেম জন্ম নিলো?
পুঞ্জপুঞ্জ আকাশ থেকে কয়েকলাইন ছেঁড়াবাক্য
আজকে আবার জোছনা লিখে ‘আগুন’ ‘আগুন’
            বলে ফেললাম আমিই?

ফলে, আমার এই কবিতাও একদিন পুরনো হয়ে যাবে
অবশ্যই গরিব বলে... আর আমি পথেই ঘুমিয়ে যাবো!

০৪.
এই ফাটাফাটি প্রজ্ঞায়, কালের লিপজেল সন্ধ্যায়
এখনও রহস্যপীড়িত আর
        প্রতারণাপূর্ণ তোমার কুটির-

আমি, চোখভর্তি জল নিয়ে, নতুন এই কবিতাটি
            রেখে যাচ্ছি তোমার কুটিরে

No comments:

Post a Comment