Monday, September 7, 2009

অপেক্ষা, সাম্প্রতিকী, আকাঙ্ক্ষা

এখনও অপেক্ষা থেকে খুব বেশি দূরে সরে যাইনি
আজকেও ফুটেছে কলি
        দূরের মল্লিকাবনে

একবার মল্লিকারা বদলি হয়ে দূরে চলে গেল,
মনে পড়ছে না, যে
কতজন মল্লিকা ফুটে ফের ঝরেমরে গেল?

অজস্র প্রশ্নের দিন, কিন্তু কেন? জানি না।
আমার না-জানা তো তোমাদের জানার সমান!
কেননা অপেক্ষা করি, অপোর চোট মেয়ে ‘না-জানা’
সে আমার বাল্যবধূ! কিন্তু তাকে তালাক দেব
        সে কথা ভাবতেই, মনে হয়
আমার শৈশব নিয়ে রাত্রিসংঘে জুয়াখেলা
            আমাকে মানায় না

তো, শিশুমন পাহাড়ের কোলে
ঢাকা ছেড়ে প্রায়ই যাচ্ছি
ঘুরছি, খেলছি সময়মতো
        ঢাকাতে ফিরছি!
কেউ কি জানছে? জানছে না
কেউ কি মানছে? মানছে না!

কিভাবে জানবে আমি কতদূর হাঁটতে হাঁটতে
‘ছাত্রবন্ধু’ ‘ছাত্রসখা’
        হারিয়ে ফেলে
            অপেক্ষা শিখছি, একা!
কিভাবে মানবে আমি প্রতিদিন
অপো লিখছি? আমার কপালে অপেক্ষাভাঁজ লেখা?

এখন যদি বলো, চলো-না হলুদ সর্ষেক্ষেতে
জড়াজড়ি করে ফুল হয়ে যাই-
        হলুদ সর্ষে ফুল!
আবার বলবে, যা এত অপেক্ষা
    এক ধরনের ভুল

আমি ভাবছি, মল্লিকারা একদিন ফিরে আসবে
এসে, তখন-না খুব হাসতে হাসতে বলে ফেলবে
        ‘হয়তো আমরাও ঠিক করিনি!
তা-বলে তুমি এই অপেক্ষমাণ?
        এটাই বা খুব ঠিক?

বলো আমার জবাব কোথায়? না-জানাটা
        শিখেছি বলেই
            উপায়বিহীন
                থেকে যাচ্ছি
                    অপেক্ষার ঘরে

তোমার সঙ্গে সর্ষেফুলের মাঠে গিয়ে
                গায়ে হলুদ মাখতে চেয়ে
                  রেখে যাচ্ছি আমার চিঠি!
               চিঠি তো নয়
                চিরকালীন পাতার বনে
           হলুদ পাতা ঝরে! চলো
          পাতায় বাঁধি ঘর

পাতা হলে পাতাই সই, যদি
    তুমি পাতাটি স্ত্রী-পাতা
        আমি পাতাটি বর...

No comments:

Post a Comment